মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে ইয়াবা দিয়ে এক ফার্মেসির মালিককে ফাঁসানোর চেষ্টার অভিযোগে কমলগঞ্জ থানার দুই পুলিশ সদস্যকে ক্লোজ করা হয়েছে।
মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপার মো. জাকারিয়ার নির্দেশে রোববার রাতেই কমলগঞ্জ থানার অভিযুক্ত এসআই সিরাজুল ইসলাম ও কনস্টেবল আফসার উদ্দীনকে অদক্ষতার জন্য কমলগঞ্জ থানা থেকে প্রত্যাহার করে মৌলভীবাজার পুলিশ লাইনে সংযুক্তির আদেশ দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার রাত সাড়ে ৯টায় মোটরসাইকেলযোগে আদমপুরের মধ্যভাগ বাজারের নিউ মেডিসিন কর্নারে সাদা পোশাকে কমলগঞ্জ থানার এসআই হারুনুর রশীদ চৌধুরী, এসআই সিরাজুল ইসলাম সিরাজ ও কনস্টেবল আফসার উদ্দীন যান। ফার্মেসিতে গিয়ে তারা ফার্মেসির মালিক স্বপন কুমার সিংহকে বলেন- দোকানে ইয়াবা বিক্রি হয় বলে ফার্মেসিতে তল্লাশি করবেন।
তখন মালিক মাদক বিক্রির বিষয়টি অস্বীকার করলে পুলিশ সদস্যরা উচ্চবাচ্য শুরু করেন। পুলিশের সঙ্গে কথোপকথনের একপর্যায়ে উপস্থিত স্থানীয় জনতার মধ্য উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। আরও লোকজন জড়ো হলে তারা এমন হয়রানিমূলক তল্লাশির প্রতিবাদ জানান এবং তিন পুলিশ সদস্যকে অবরুদ্ধ করে রাখেন।
প্রায় আধাঘণ্টা অবরুদ্ধ থাকার পর জনতার রোষানল থেকে বাঁচার জন্য তথ্যগত ভুলের কারণে এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার দায় স্বীকার করে তিন পুলিশ সদস্য দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করেছিলেন। অবরুদ্ধের ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়।
সূত্র আরও জানায়, ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, যুগান্তরসহ বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রকাশিত হলে ২০ মার্চ দুপুরে মৌলভীবাজার পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের একটি প্রতিনিধি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। ওই দল পরিদর্শনের পরই রাতে দুই পুলিশ সদস্যকে মৌলভীবাজার পুলিশ লাইনে সংযুক্তির আদেশ দেওয়া হয়।
কমলগঞ্জ থানার ওসি ইয়ারদৌস হাসান দুই পুলিশ সদস্যকে মৌলভীবাজার পুলিশ লাইনে সংযুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, অদক্ষতার জন্য তাদের সাময়িকভাবে মৌলভীবাজার পুলিশ লাইনে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। ঘটনার তদন্তের পর অভিযোগ প্রমাণিত হলে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।